দিন কয়েক আগে মায়ের সাথে হোমিওপ্যথিক ওষুধের দোকানে গিয়েছিলাম। নানান ধরনের কাঁচের বোতলে দোকানটি ভর্তি। চার দেওয়ালের সমস্ত তাক জুড়ে শুধু সাদা গুলি আর কিছু তলর পদার্থের শিশির মেলা আমার বেশ লাগছিলো। হঠাৎ নৈঋত কোনে একটু উপরের দিকে চোখ যেতেই দেখলাম লক্ষ্মী গণেশের মূর্তি, সব দোকানেই যেমন থাকে আরকি। কৌতূহলটা বাড়াল পাটাতনে রাখা হোমিওপ্যথিক ওষুধের শিশিটা। আমি নিজের মনে শিশিটা ওখানে রাখার সম্ভাব্য কারণ ব্যাখ্যা করতে লাগলুম। কিন্তু কোনটাই আর ঠিক মনোমত হলনা। শেষমেশ দোকানদার তপন কাকুকে জিজ্ঞাসা করেই বসলুম যে ওষুধের শিশিটা ভুল করে ঠাকুরের সামনে রেখে ফেলেছে কিনা। উত্তরে তপন কাকু জানালেন যে ওটা ঠাকুরের জন্যই। নকুলদানার বিকল্পে সাদা গুলির ওষুধ ঠাকুরকে দেওয়া হয়। মনে মনে ভাবলাম, আমার আরাধ্য দেবতাকে আমি কেমন করে ভোগ নিবেদন করব তা আমার অন্তরাত্মাই বলে দিতে পারে কেবলমাত্র। ছাপ্পানো ভোগের এতো উপঢৌকনের ব্যাবস্থা না করে আমার ভক্তিতে শক্তি থাকলেও হবে। এতো সুন্দর একটা চিন্তা উপহার দেওয়ার জন্য তপন কাকুর কাছে আমি কৃতজ্ঞ।
No comments:
Post a Comment