08 August 2022

প্রনাম নিও রবিঠাকুর

ছোটোর থেকেই যার কবিতা, গান, গল্প শুনে ও পড়ে বড় হওয়া আজ তার তিরোধান দিবস। তিনি আমাদের সকলের প্রাণের ঠাকুর। মায়ের বরাবরই গল্পের বই পড়ার নেশা ছিল। রবীন্দ্রনাথ মায়ের অতন্ত প্রিয় একজন লেখক। ছোটো থেকেই দাদাও মায়ের গল্পের বই পড়ার নেশাটা বেশ ভালো রপ্ত করে নিয়েছিল। আমার পড়ার শখ তখন খুব একটা হয়নি। স্কুলের বই পড়ে উঠতেই দিন কাবার, গল্পের বই কখন পরব। তবে নাচ, গান আর কবিতার মাধ্যমে ঠাকুর রক্তের মধ্যে প্রবেশ করতে শুরু করেছিলেন। আস্তে আস্তে প্রাইমারী স্কুলের গণ্ডি ছাড়িয়ে হাই স্কুল। ততদিনে পাড়ার ও আশে-পাশের প্রতিযোগিতাতে নাচ, আঁকা এসব করে টুকটাক প্রাইজ পাওয়া শুরু হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রাইজ হিসেবে পেতাম রবি ঠাকুরের লেখা বই। শুরু হল কবির লেখা পাঠ করা। মুগ্ধতা আমাকে গ্রাস করল- এতো চমৎকার কিছু হতে পারে? লেখা দিয়ে রঙ্গিন ছবি আঁকা যেতে পারে? ক্যামেরা ছাড়াও চরিত্রদের রঙ্গমঞ্চে অভিনয় ধরা যেতে পারে? এ তো সপ্ত সিন্ধু। যত ঠাকুরের লেখা পড়ি তত যেন মানুষের অনুভূতি, আবেগ সব কিছু আরও প্রগাঢ় হয়ে ওঠে।
তারপর একদিন সুযোগ হল ঠাকুরের নিজের তৈরি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার। তাও আবার সমাজ কর্ম নিয়ে। যদি কিছুর জন্য সবথেকে বেশি কৃতজ্ঞ হয়ে থাকি তাহলে তা হল সেই ক্ষণ , যখন আমি বিশ্ব-ভারতীতে পড়ার সুযোগ পাই। এ যেন কবিগুরুর সৃষ্টিকে আমার প্রতিটা চেতনা দিয়ে অনুভব করা। গুরুর শরনাপন্নে আমি যেন আস্তে আস্তে বদলে যেতে থাকলাম। মানুষ হিসেবে নিজেকে জানলাম। খুঁজে পেলাম মানবতার বোধ। ভালো মানুষ হওয়ার দৃঢ় সঙ্কল্প মনের মধ্যে লালিত হতে শুরু হল। ভালো মানুষ হওয়ার বাসনা জাগ্রত হওয়া, এর থেকে বেশি ভালো আর কিই বা হতে পারে। প্রতিটা দিনের শুরুতে তাই কবিগুরুকে প্রণাম জানিয়েই দিনটা শুরু করি। প্রনাম নিও রবিঠাকুর

No comments: